ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রোর জেরে বউবাজার সংলগ্ন এলাকায় ভেঙে পড়ছে পুরানো পাকা বাড়ি গুলি। ভেঙে পড়েছিল কয়েকটি বাড়ি এবং ফাটল দেখা দিয়েছিল কিছু কিছু বাড়িতে। ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় বসবাস করা জনবসতিপূর্ণ এলাকা গুলিকে ফাঁকা করে দেওয়া হয়।  ৫২ টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয় ৭০ টি ফ্যামিলিকে অন্যত্র সরিয়ে  নিয়ে যাওয়া হয়। 


ধর্মতলা হয় এস এস ব্যানার্জি রোড, জানবাজার, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, কোলে মার্কেট ও শিয়ালদহ স্টেশনে দুটি বোরিং মেশিন দিয়ে টানেল  খোড়ার সময় কম্পন অনুভূত হয়। আর  কম্পনের জেরেই কোমরে ভেঙে পড়ে পুরানো বিপদজনক বাড়িগুলি। টানেলের মধ্যে বোরিং মেশিনের জন্য কি হয়েছিল মাটির তলায়? 
 



রাস্তা থেকে সুরঙ্গ ১৪ মিটার নিচে । আরে ১৪  মিটার নিচে আছে একাধিক স্তর । সুড়ঙ্গের উপরে মাটির স্তর থাকছে। তারপর থাকছে বালির স্তুর। আর বালির স্ত্তরের উপর তৈরি হয় পিচ রাস্তা।যার উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। শুধু তাই নয় মাটির তলায় আছে ওয়াটার পকেট অর্থাৎ জলস্তর। আর বোরিং এর সময় সে ঝড় উঠতে থাকে। তা সিমেন্ট এবং রাসায়নিক দিয়ে আটকানো হয়। তবে শেষমেষ সেই জল আটকানো সম্ভব হয়নি। সুড়ঙ্গে সেই জল ঢুকতে থাকে। মাটির স্তর আলগা হওয়ার ফলে। তার জন্য সতর্ক সাথে প্রশাসন কাজ করেছে । সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


অনেক পরিবার তাদের বাস্তু ভিটে ছাড়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে এসে সবাইকে আশ্বাস দেন এবং ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষনা করে।  পরবর্তীতে বিল্ডিং গুলো রিকনস্ট্রাকশন করা হয়। যাবতীয় খরচা বহন করে কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটি।

েশের মেট্রোর ইতিহাসে ধসের ঘটনার দিকে অর্থপূর্ণ বলে বর্ণনা করে কলকাতা মেট্রো কর্পোরেশন । তাছাড়া সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের বিশেষজ্ঞরা কি ভুল হয়েছে তোর মূল্যায়ন করতে আসবেন। এই দুর্ঘটনার পর, মেট্রো কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‌‌‌‌, যতক্ষণ না বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ তদন্ত করবেন। কাজটি এক বছরের জন্য বিলম্বিত হবে। মেট্রো মনে করে এটি করতে করতে ২০২১ শেষ হয়ে যাবে যার মধ্যে ক্ষতিপূরণের সময় পাবে তারা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন